এই কবিতার
গন্তব্য কেবল তোমার দিকে
তোমার দিকে- তোমার নির্মাণের দিকে
তোমার উদ্দেশ্যে রচিত এই কবিতার
সকল পঙ্ক্তিমালা
শুধু তোমার জন্যে।
এই কবিতার প্রত্যেকটি শব্দ তোমার প্রতিনামে
উচ্চারিত হবে- প্রতিটি বর্ণে বর্ণে কেবল
আয়ত দৃষ্টির বর্ণচ্ছটার রঙধনু দেখা যাবে-
পঙ্ক্তি থেকে পঙ্ক্তির দূরত্বে, ঈশ্বরের মতো-
ঈশ্বরীর মতো-
দুই পঙ্ক্তির মধ্যবর্তী নৈঃশব্দ্যে
তোমার চুপচাপ প্রহরগুলো উপমায়িত হবে-
কেবল তোমাকে লক্ষ্য করে এই কবিতার প্রতিটি চরণ;
তোমার হাসি-মুখ ঠোঁটের প্রান্তদেশে
যেরকম আমার কাতর চুম্বন ছুটে যায়-
তোমার গন্ডদেশে- বক্ষের উর্ধ্বভাগে
নাভী নিম্নে যেরকম চুম্বন ছুঁটে যায়।
তোমাকে আবিষ্কারের নেশায়
তোমার আর্দ্র উষ্ণ নিঃশ্বাসের ঝড়োতায়
আমি সেই অভিযাত্রী;- গোপন কবি;
তোমার উদ্দেশ্যে আমার সকল চুম্বন কবিতা;
তোমার উদ্দেশ্যে আমার সকল আলিঙ্গন কবিতা;
তোমার উদ্দেশ্যে আমার সকল আলাপ কবিতা;
তোমার উদ্দেশ্যে আমার সকল যৌনতা কবিতা;
তোমার ওষ্ঠে বাহুতে উরুতে কামোন্মাদনায় নয়
কবিতা, কেবল কবিতার পঙ্ক্তি অর্ঘের মতো
রেখে আসি হে ঈশ্বরী;- স্নিগ্ধ ইচ্ছার সামনে-
তোমার দিকে-
নির্ধারিত করে দিয়েছি।
তোমার দিকে- তোমার নির্মাণের দিকে
তোমার উদ্দেশ্যে রচিত এই কবিতার
সকল পঙ্ক্তিমালা
শুধু তোমার জন্যে।
এই কবিতার প্রত্যেকটি শব্দ তোমার প্রতিনামে
উচ্চারিত হবে- প্রতিটি বর্ণে বর্ণে কেবল
আয়ত দৃষ্টির বর্ণচ্ছটার রঙধনু দেখা যাবে-
পঙ্ক্তি থেকে পঙ্ক্তির দূরত্বে, ঈশ্বরের মতো-
ঈশ্বরীর মতো-
দুই পঙ্ক্তির মধ্যবর্তী নৈঃশব্দ্যে
তোমার চুপচাপ প্রহরগুলো উপমায়িত হবে-
কেবল তোমাকে লক্ষ্য করে এই কবিতার প্রতিটি চরণ;
তোমার হাসি-মুখ ঠোঁটের প্রান্তদেশে
যেরকম আমার কাতর চুম্বন ছুটে যায়-
তোমার গন্ডদেশে- বক্ষের উর্ধ্বভাগে
নাভী নিম্নে যেরকম চুম্বন ছুঁটে যায়।
অথবা নক্ষত্রদ্বয়ে
অথবা সমুদ্র অতলে
আমার যে সন্তরণময়ী ইশারা
এ নিছক যৌনতা নয়;
তোমার শরীরের সামনে-
ঈশ্বরী প্রতিমার সামনে
আমার দশটি আঙুল কেবলি কবিতা;
অথবা সমুদ্র অতলে
আমার যে সন্তরণময়ী ইশারা
এ নিছক যৌনতা নয়;
তোমার শরীরের সামনে-
ঈশ্বরী প্রতিমার সামনে
আমার দশটি আঙুল কেবলি কবিতা;
তোমাকে আবিষ্কারের নেশায়
তোমার আর্দ্র উষ্ণ নিঃশ্বাসের ঝড়োতায়
আমি সেই অভিযাত্রী;- গোপন কবি;
তোমার উদ্দেশ্যে আমার সকল চুম্বন কবিতা;
তোমার উদ্দেশ্যে আমার সকল আলিঙ্গন কবিতা;
তোমার উদ্দেশ্যে আমার সকল আলাপ কবিতা;
তোমার উদ্দেশ্যে আমার সকল যৌনতা কবিতা;
তোমার ওষ্ঠে বাহুতে উরুতে কামোন্মাদনায় নয়
কবিতা, কেবল কবিতার পঙ্ক্তি অর্ঘের মতো
রেখে আসি হে ঈশ্বরী;- স্নিগ্ধ ইচ্ছার সামনে-
তোমার দিকে-
তোমাকে
লক্ষ্য করে
এইসব কম্পমান অক্ষরগুলো
আর্তের মতো হাহাকার করে
সৃষ্টির অনিন্দ্য উল্লাসে;
এ নিছক পঙ্ক্তি নির্মাণ নয়-
তোমার নির্মাণ প্রয়োজনে এইসব কবিতা
তুমি, তোমাকে লক্ষ্য করে এই রাতজাগা কবিতা;
দীর্ঘদিন আমি রাত জেগে কবিতা লিখি না
অথবা অনেকদিন কবিতার জন্য রাত জাগি না;
তোমাকে উদ্দেশ্য করে অনভ্যস্ত এই রাতজাগা কবিতা
আবিষ্কারের আনন্দের মতো
তোমার মানচিত্রের
এইসব কম্পমান অক্ষরগুলো
আর্তের মতো হাহাকার করে
সৃষ্টির অনিন্দ্য উল্লাসে;
এ নিছক পঙ্ক্তি নির্মাণ নয়-
তোমার নির্মাণ প্রয়োজনে এইসব কবিতা
তুমি, তোমাকে লক্ষ্য করে এই রাতজাগা কবিতা;
দীর্ঘদিন আমি রাত জেগে কবিতা লিখি না
অথবা অনেকদিন কবিতার জন্য রাত জাগি না;
তোমাকে উদ্দেশ্য করে অনভ্যস্ত এই রাতজাগা কবিতা
আবিষ্কারের আনন্দের মতো
তোমার মানচিত্রের
সকল ভূ-রেখা পরিভ্রমনের মতো
এ কবিতা লেখা;
এ গোলার্ধ থেকে ঐ গোলার্ধের দিকে নয়
সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্তের দিকে নয়
গন্তব্য থেকে উৎসের দিকে নয়
তোমার নক্ষত্রদ্বয়ের জলবিন্দুর উদ্ভাসনের দিকে
মসৃন নাভীদেশের অতলান্ততার দিকে
তোমার চুড়ান্ত গন্তব্যের দিকে
এই কবিতা কেবল তোমার সৃষ্টির প্রয়াসে
তোমাকে লক্ষ্য করে-
তোমার উদ্দেশ্যে রচিত, ঈশ্বরী আমার;
এ কবিতা লেখা;
এ গোলার্ধ থেকে ঐ গোলার্ধের দিকে নয়
সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্তের দিকে নয়
গন্তব্য থেকে উৎসের দিকে নয়
তোমার নক্ষত্রদ্বয়ের জলবিন্দুর উদ্ভাসনের দিকে
মসৃন নাভীদেশের অতলান্ততার দিকে
তোমার চুড়ান্ত গন্তব্যের দিকে
এই কবিতা কেবল তোমার সৃষ্টির প্রয়াসে
তোমাকে লক্ষ্য করে-
তোমার উদ্দেশ্যে রচিত, ঈশ্বরী আমার;
-----------------------------------------
২৩.০৮.০৮
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন