মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল, ২০১৪

কার জন্য

কার কথা লিখবো
কার জন্য

ঘূর্ণয়মান বল পিচে পড়ে
গ্রিফ্ বদলাতে চায়

কাকে বলে দেব এই জুয়াড়িগুজব

তৃষ্ণার্ত মানুষের চোখে
রাতের হর্ণ
গাছেদের গরীবি হালত্‌

রতভর
ক্রোমোসোম বদল
অথবা গ্রীবা, রাতের মৌসুম

কী নিঃস্তব্ধ এই বিহারী পল্লী
সুদূর প্রসারি বাহু
জাতিসঙ্কর ভূমিপুত্রের

জেলে পাড়ার উজ্জ্বল শিখায়
লেলিহান হিযরত

অবাক বিস্ময়ে বৃষ্টির জল
হলুদ ইশারা, কিম্বা
এই অমরতা!

বুধবার, ৯ এপ্রিল, ২০১৪

রেলিঙে

এই যে রেলিং। বসে আছি। পাশ দিয়ে
ফোঁশ করে চলে গেল প্লাস্টিক

অথবা মৃদু শীৎকারে।।

শীতাতপ নিয়ন্ত্রণে
অন্দরে বসে আছ
একা

ঘোচাতে নৈঃসঙ্গ বরং
চাষ কর বিটি
বাইগুন
অ থ বা
ভ্রূকুটি মাধুরী

রেলিং থেকে দেখা যাচ্ছে
কোমল নির্যাস

তোমার তাপানুকূল প্লাস্টিক
ট্রাফিক স্থিরতায় হতাশ
ফলাও লাস্য
সাথে ঋতুর কর্পূর

ওল্টাও ম্যাগাজিন
পাতায় পাতায়
আরাধনা
জীবনের

রেলিঙে পোষাক থাকে না
লজ্জাও না
দুর্বৃত্ত আদিম মগ্নতা শুধু

তোমাকে উদাস দেখে

জয় হো, জয় হো

তীতাসের পানি ঢুকাও, ঢুকাও ইছামতির জল,
সুরমা, করতোয়া, কংস আর মনুর মাছের
মতো ঢুকে যাও জল- যমুনার চর, পদ্মার পাড়
মেঘনার মোহনা ঢুকাও অকাতরে, অকাতর

বৃষ্টির অভাব হবে না, কাদায় বর্ষার কমতি নেই
জল তো আসলে ফেয়ার এন্ড লাভলি, মুখে মাখো
সুখে মাখো আর জমা রাখ বগলের লকারে

ব্যারেজের বালিশে বড় সুখে আছি, তুমি ঢুকে যাও
প্রভুত জলে; প্রভু আমার গঙ্গা চাই না, পুকুরটা
বাঁচুক, কুকুরটা বাঁচুক, আকাশটা সাদা থুকুক

তুমি গজানন ঢুকাও শুড় দিয়ে দুধের মতো
জলরাশি; আমি ত আফ্রিকান মাগুরের জ্ঞাতি,
ভয় কি আমার, জয় হো, জয় হো জলতরঙ্গের
আমি ত বেঁচে আছি, থাকবো সুখশান্তির হাইব্রিডে

সোমবার, ৭ এপ্রিল, ২০১৪

আই লাভ ইউ

ঘন অপরাহ্ন। তুমি গায়ে দিয়ে আছ শুদ্ধ জামা। বৃক্ষ বসে আছে, তার কেশদাম ঝরছে
আলথালু বাতাসে কতগুলো ডেকার উড়ে যাচ্ছে, উড়ছে ফণিমনসা- ক্যাকটাস

তোমার বিশুদ্ধ সালোয়ার। তীরবিদ্ধ মন্দিরে মদির পুরোহিত-
নিশুতি সকাল। বিষ্ণুবক্ষের মতো 
গাছ, তোমার চুলের লালসা, খেয়ে ফেলবো অটোরিক্সা
রিক্সাচিত্রের বিগত জৌলুশ।

রেডিও মেইকার। নেমে গেছে হেমন্ত, আকাশ ও স্টেজ থেকে, সন্ধ্যার ঘরে
ভাগবৎ পাঠ। ফাক্।। 

ফাক্।।
কামিজের ফাঁকে তেত্রিশ কোটি অ্যানালগ বিধাতার বাস
পাখিবন্দি কেঁচোদের মনোলগ, গ্র্যামাটিক আলখেল্লা

 তুমি তাকে ইশারাদৃষ্টির সিগন্যাল দেবে না আর- আই লাভ ইউ লেডি মেডুসা

 ওহ ডিয়ার, ওহ ডিয়ার, আই লাইক ট্যু ফাক্ ইউ




শনিবার, ৫ এপ্রিল, ২০১৪

মিথ্যেবাদী শীত

মিথ্যেবাদী শীত একদিন চুরি করে নিয়েছিল আমার
সবটুকু উষ্ণতা, প্রাত্যহিক বিস্ময়
সেই থেকে তোমরা চাদোরের আজ্ঞাবহ দাস

বুধবার, ২ এপ্রিল, ২০১৪

শিরোনামের প্রয়োজন নেই, শুধু তুমি ঈশ্বরী

এই কবিতার গন্তব্য কেবল তোমার দিকে
নির্ধারিত করে দিয়েছি

তোমার দিকে- তোমার নির্মাণের দিকে
তোমার উদ্দেশ্যে রচিত এই কবিতার
          সকল পঙ্‌ক্তিমালা
          শুধু তোমার জন্যে

এই কবিতার প্রত্যেকটি শব্দ তোমার প্রতিনামে
উচ্চারিত হবে- প্রতিটি বর্ণে বর্ণে কেবল
আয়ত দৃষ্টির বর্ণচ্ছটার রঙধনু দেখা যাবে-
পঙ্‌ক্তি থেকে পঙ্‌ক্তির দূরত্বে, ঈশ্বরের মতো-
                                      ঈশ্বরীর মতো-
দুই পঙ্‌ক্তির মধ্যবর্তী নৈঃশব্দ্যে
তোমার চুপচাপ প্রহরগুলো উপমায়িত হবে-
কেবল তোমাকে লক্ষ্য করে এই কবিতার প্রতিটি চরণ;

তোমার হাসি-মুখ ঠোঁটের প্রান্তদেশে
যেরকম আমার কাতর চুম্বন ছুটে যায়-
তোমার গন্ডদেশে- বক্ষের উর্ধ্বভাগে
নাভী নিম্নে যেরকম চুম্বন ছুঁটে যায়।

অথবা নক্ষত্রদ্বয়ে
অথবা সমুদ্র অতলে
আমার যে সন্তরণময়ী ইশারা
          এ নিছক যৌনতা নয়;
                   তোমার শরীরের সামনে-
                   ঈশ্বরী প্রতিমার সামনে
আমার দশটি আঙুল কেবলি কবিতা;

তোমাকে আবিষ্কারের নেশায়
তোমার আর্দ্র উষ্ণ নিঃশ্বাসের ঝড়োতায়
আমি সেই অভিযাত্রী;- গোপন কবি;

          তোমার উদ্দেশ্যে আমার সকল চুম্বন কবিতা;
          তোমার উদ্দেশ্যে আমার সকল আলিঙ্গন কবিতা;
          তোমার উদ্দেশ্যে আমার সকল আলাপ কবিতা;
          তোমার উদ্দেশ্যে আমার সকল যৌনতা কবিতা;

তোমার ওষ্ঠে বাহুতে উরুতে কামোন্মাদনায় নয়
কবিতা, কেবল কবিতার পঙ্‌ক্তি অর্ঘের মতো
রেখে আসি হে ঈশ্বরী;- স্নিগ্ধ ইচ্ছার সামনে-

          তোমার দিকে-
          তোমাকে লক্ষ্য করে
          এইসব কম্পমান অক্ষরগুলো
          আর্তের মতো হাহাকার করে
          সৃষ্টির অনিন্দ্য উল্লাসে;
          এ নিছক পঙ্‌ক্তি নির্মা নয়-
          তোমার নির্মা প্রয়োজনে এইসব কবিতা

তুমি, তোমাকে লক্ষ্য করে এই রাতজাগা কবিতা;
          দীর্ঘদিন আমি রাত জেগে কবিতা লিখি না
          অথবা অনেকদিন কবিতার জন্য রাত জাগি না;

তোমাকে উদ্দেশ্য করে অনভ্যস্ত এই রাতজাগা কবিতা
আবিষ্কারের আনন্দের মতো
তোমার মানচিত্রের
সকল ভূ-রেখা পরিভ্রমনের মতো
এ কবিতা লেখা;

                    এ গোলার্ধ থেকে ঐ গোলার্ধের দিকে নয়
                    সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্তের দিকে নয়
                    গন্তব্য থেকে উৎসের দিকে নয়

তোমার নক্ষত্রদ্বয়ের জলবিন্দুর উদ্ভাসনের দিকে
মসৃন নাভীদেশের অতলান্ততার দিকে
তোমার চুড়ান্ত গন্তব্যের দিকে
এই কবিতা কেবল তোমার সৃষ্টির প্রয়াসে
                   তোমাকে লক্ষ্য করে-
তোমার উদ্দেশ্যে রচিত, ঈশ্বরী আমার;


-----------------------------------------
২৩.০৮.০৮

মঙ্গলবার, ১ এপ্রিল, ২০১৪

আকন্দের ভ্রম

ঈশ্বর আমায় জন্ম দিয়ে বলেছিলেন-
নতজানু হয়ে থাকবি
নির্বাক
তাই বলে নিজেকে তথাগত ভাবার দরকার নেই।
রাস্তার ধূলার মতো ধবধবে শাদা
মেঘে পায়ে পায়ে উড়বি শুধু। 


করবী ফুলের ডালে তোর জন্য ফুঁটে থাকবে
আকন্দের ভ্রম-


প্রভু, আমি তাই উড়ি পায়ে পায়ে বিনিত অক্ষরে।