তুমি জমেছো মেঘ- কবে থেকে জমতে শুরু
ঘন থেকে ঘনায়মান, গম্ভীর পতনের দিকে
সময় কেবলি নির্লিপ্ত দর্শকের মতো
বয়ে চলছে; যে মেঘে বৃষ্টি হয় তাকে
বর্ষণমেঘ বলে লোকে; আমি তোমাকে শুধু
পতন বলি। পতিত হও নিরলস,
আমার মাটির বিছানা-বালিশ ধুয়ে মুছে
যাবার আগে নিশ্চিন্তের শেষ নিদ্রা
শেষ কোলাহল শুনে দাঁড়িয়ে থাকবো
তোমার তুমুল আক্রমনে একা অপরাজেয়
তুমি বড় জোর সঙ্গহীন করে বয়ে নিয়ে যাবে
ধুলো-মাটি-সম্পর্কের স্মৃতিদাগ
আমি তবু দাঁড়িয়ে শেষতম জলে
লিখে দেবো মরুদাগ, প্রতিভার ক্রোধ
বিষাদ চোখে এসে পড়ে সূর্যাস্তের রঙে
অন্ধকরাচ্ছন্ন দুপুরে চাই আরো চাই তামস
নতজানু হয়ে অতঃপর শিড়দাঁড়া করা
পৃথিবীর বিক্ষুব্ধ প্রনয় যুগল,
মেঘমিশ্রিত দেহবাসর,
সবার আগে চাই অবাধ বিধান
তুমি কেন ভাসিয়ে দিতে পারো না
সামাজিক আগাছা-বিধান
নাকি তুমিও অঞ্জন ঝটিকা বলে
কেবলি সঙ্ঘ আর সঙ্গের তফাত ভুলে যাও
আমার পিতৃত্বের বাসনা ধুয়ে যাক শ্রাবণে
তোমার রজরক্ত রূপকথা হয়ে থাক
বসন্তনিশিথে। নামের পাশে পদবীটাই
নির্ণায়কের মূল সুত্র আজ। ওষ্ঠ অথবা হৃদয়ের
কম্পিত চাওয়া ভিন্ন চিতার ছাই হয়ে ভাসবে জলের
চতুর আদোরে। এই শেষতম চুম্বনে দীর্ঘ উপায়
আমাদের পৃথিবীতে বিশুদ্ধ বর্ষা আসেনি এখনো
পাখি ডাকে; চোখে তার চঞ্চুর নির্ভার
সেও উড়ে যাবে বৃষ্টির মাতাল প্রস্রবনে
২৯ আগস্ট, ২০১৩
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন