মঙ্গলবার, ২২ জুলাই, ২০১৪

স্পর্শ বিষয়ক দু্ইটি

এক.
কিছুই ছোঁয়া যাচ্ছে না- হাত অথবা হাতিয়ার
দৈবাৎ, কিছু স্মৃতি ফিরে আসে
যা অস্পর্শী

যা আনন্দ দেয়, গাছের গোড়ায় জমে থাকে
যা উলম্বের অধিশ্বর;

সবই অচ্ছুৎ। কিন্তু অবস্তু নয়। তবু
ছোঁয়া যাচ্ছে না

দুই.
গভীর হ্রদের তলানি, অসূর্যের স্পর্শে
শুধু ইশারা ইঙ্গিত করে

তর্জনি থেকে মৃতকোষেরা পাড়ি দেয় মহাকাল,
পেরুতে চায় অগস্ত্য দূরত্ব

শনিবার, ১৯ জুলাই, ২০১৪

ক্ষয়রোগ

চারপেয়ে পাখি ও রতির সংলাপ, ধূপসঙ্ঘর্ষের মতো ভেঙ্গে পড়েছে
এই পারিজাত, এই আঘাত, এই মনোহর ক্রুশদাগ
এ আমাদের আবাল্য প্রণয়- গোপনে গোপনে অনাদিকাল
বৈধতা চাইবে।

তৃষ্ণার্ত বালুকণা অথবা যিশুর পদরেখা ধরে
জন্মানো বালকবালিকা, ওরাও বৈধতা চাইবে প্রতি জন্মের;

হৃষ্ট হৃদয় তোমার; সাজিয়েছ আমালকি স্বাদে, স্বেদেও নিদারুণ
ঝর্ণাপতন।

এই যে আলো, আকাশে ছাড়িয়েছে ময়ূরপুচ্ছ-
মুছে গেছে গোধূলি

রাতভর রতি ও পাখি এড়াতে পারেনি ক্ষয়রোগ।

মঙ্গলবার, ১ জুলাই, ২০১৪

না ফেরার মতো

যেতে হবে না ফেরার মতো। এই শীতল দুপুর নেমে আসে আগেকার মতো। অথচ এখন ফেরার মতো দেশ নাই; শুধু নওপাখিদের রক্তচিৎকার শুনি

দূরে লেবুগাছ, নিকটে সারকোস্টিক পানীয়, এ উদ্দাম একাকীত্ব চক্রবৃদ্ধির মরিচিকায় তুলে রাখি রাতের শিরে

একই দুঃস্বপ্নের রাত্রিরে কেউ পরোয়া করে না- তাই ফিরে ফিরে আসে লবনচাষী; মর্ত্যের জাদুকর শোন, গাছের ক্লান্তি, ফলের ক্লান্তি, রাস্তা ও পথের ক্লান্তি আর সমূহ নিষেধ ছেড়ে অস্তগামী পৃথিবীর বাসে উঠে যাবো, চলে যাবো কোন পঙ্কিল জলাশয়ে