মঙ্গলবার, ২২ জানুয়ারী, ২০১৩

মুক্তিবেগ

আকাশে বড় চাঁদ। বুড়ির চরকায় তুলোর জট
ভেঙ্গে যাচ্ছে ক্রিস্টাল নীরবতা-
আমাদের বাতাস থেকে উড়ে চলে যাচ্ছে শিমুল ফুলের ঘ্রান
পুড়ে যাচ্ছে মাটি, দিঘি, রামপ্রসাদের ভক্তিগীতি; সব তুলো
উড়ে যাচ্ছে পৃথিবীর বাতাস ছেড়ে; ঘুমিয়ে পড়েছে স্বতন্ত্রতা
আমরা গোপনে হারিয়ে ফেলেছি অতীব পরাজয়
আকাশে চাঁদের আলো- তুমি হুহু বাতাস
আমি শালিখের রাতের ক্রন্দন- আকাশ ভেঙ্গে পড়ে যাচ্ছে
চরকার চাকা, সাদা থান, ক্রিমির মতো কিলবিলে সব সুতোগুলো

সীসা

আমরা দু’জনে পেয়ে গেছি হরিনের খুর- মড়ক লাগা
মাছিদের শেষ গুঞ্জন; ঢাকার আকাশে
আজ অনেক ধোঁয়া, দু’জনে মিলে হয়ে আছি
পালকের নরোম শ্বাস। গাছেদের পাতা থেকে
মুছে গ্যাছে সেই কবে বসন্তের দাগ-
অজস্র বেগুনী আলো আর ট্রাফিক হলুদ রিরাংসায়
না, এটা প্রাচীন নাটকের একরৈখিক বিন্যাস নয়
এ শহরের সবকটি ইটে লেগে আছে কসমোপলিটন ধূলো
ভুলে গ্যাছো; ভুলে গ্যাছো এই শহরে ধূলো উড়িয়ে
বেজেছিলো ঘন অশ্বখুরধ্বনি- আমরা এসেছি
সেদিনই-তো- সীসার মতো ধীরে ধীরে গলে যাচ্ছে রোদ

শনিবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০১৩

উচ্চারণ

আমরা পেয়ে যাবো পূর্বজদের পায়ে চলা পথ
হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ- কতোবার
কতো মানুষের ভীড়ে বৃক্ষেরা জন্মেছিলো
কতো মানুষের চোখে ভরা স্বপ্নের মতো;
তুমি এক পঙক্তির সৌন্দর্য হয়ে আছো
তুমি ফের শ্লোগানের মতো ধিকি ধিকি জ্বলছো
জ্বলছো নিভছো জোনাক- আমরা হেঁটে যাবো
রিক্ত পথে বহুময় একাকীত্বে; কতোবার পেয়ে
হারিয়েছি ঐরাবতের পাল- কতোবার হয়ে গ্যাছি
সাঁতার পটু সাদা কিশোরের শার্ট; উড়তে উড়তে
হাওয়ায় লুটিয়ে পড়েছি, লুটিয়ে পড়েছি তুমি আমি
সঙ্ঘযুথের দিপ্র উচ্চারণে।