সোমবার, ৩ আগস্ট, ২০১৫

Safari



I can hear her celestial voice. Here she looks for a holy flower
in my body . Her golden youth, her love talk drowns into the
abyss of misery of a wounded Stag. Hey primal Gods, how long
you’ll remain inert? Now wake up slowly. I have seen her fled
from the astral rib-cage. Now she governs the crucified city of
Jerusalem - where an innocent Judas is applauded in front of
a sinful Christ. Kiss me caress me my mother-monster, till the
end of the night derived from the trance of that wounded Stag.

(Translated by Anonymous)

সোমবার, ২৯ জুন, ২০১৫

মাছের জীবন

বৃক্ষ বুঝেছে তার নাম, বুঝেছে নিজের ভেষজ ইতিহাস কি করে বৈরি হল। 

নর্দমার মধ্যে একটি সোনালি মাছ মনের সুখে বাস করে। আমি প্রতিদিন বাজারে যাই; প্লেন-হেলিকপ্টার এইসব কিনি। চকলেট খাই। রূপসী মাছটি রূপালি স্বপ্ন দেখে, দেখতে দেখতে খাদ্যাভ্যাস পাল্টাই। এরপর দু'জনে মিলে পৃথিবীতে পায়েচারি করি। দূর থেকে হারুন বিএসসি তার কন্যাদের জলের সংকেত লিখতে দেখেন; তাদের সবুজ ফ্রকের সেলাই ভিজে যায়।

ওহে বোকা মাছ, এটা সোনালি ডোবার শহর। এখানে বোকা পুরুষের সাথে সংসার কিম্বা বাজার গমন কোনটাই ঠিক নয়। এখানে ঘোলা পানি ঘোলা জল মিশে একাকার নয়। দশটি ঢোড়া সাপের দৈর্ঘ্যের মতো বিপদসংকুল এই হ্রদ। এর পানিতে নানা জীবাণু আছে, জীবাণুর ভেতর ফিল্টার আছে। ফিল্টারের ভেতর পাস্তুরিত দুধ থাকে।

মাছের জীবন আর সস্তা নয়। একভাগ পুঁটি মাছের দাম পাঁচ টাকা নয়। বাজারের ব্যাগ হাতে ঘুর ঘুর করি। মনের সুখে রাস্তা মাপি। রাস্তা থেকে কন্যাদের সবুজ ঘ্রাণ পাওয়া যায়। যানবাহনের ভিড় ঠেলে মৎস্য ভবনের দিকে কে যেন চলে যাচ্ছে

মঙ্গলবার, ৯ জুন, ২০১৫

বাসর

ভাঙ্গা ব্রিজের নিচে আমাদের বাসর। চৈত্রশাপের দিকে চেয়ে চেয়ে চাঁদ ডুবে যায়, অতঃপর: অমাবস্যার ভেতর থেকে মন্মথ ডাক দেয়। আমরা এগারসিন্ধুতে বসে মহাসিন্ধু পার হতে চাই। ইঁট-সুড়কির ব্রিজে খেলা করে শিশুরা। তাদের চোখের স্রোতে যৌথ সাঁতার। তালপাতার নথির মধ্যে পতঙ্গ-উল্লাস ধরা পড়ে। তুমি, মোহিনী, ব্যকুল কেঁদে চলছো; তোমার করুণ ছলনা জালে ধরা পড়েছে মন্দাক্রান্তার ক্লান্তি। এই বিলাপের ধ্বনি লিখে রাখছেন আমার পুর্ব্বপুরুষগণ।

লোহার রেলে বসে, দুলতে দুলতে, বাতাসের সংঘর্ষের দিকে চলে যাই অনেক দূর আমি আর মন্মথ; চা পানের বিরতি এসে পড়ে, কত কী বাকী

সোমবার, ১ জুন, ২০১৫

রঙিন জিরাফ

এই রাজপথে সরিসৃপেরা ঘুমিয়ে থাকে
তাদের ডিঙিয়ে রঙিন জিরাফ লাফ দেয়
অযাচিত খননের দিকে

নির্বান



প্রত্যেক পুরুষের সামনে একজন নারী  
প্রত্যেক নারীর সামনে একজন পুরুষ
শুয়ে থাকে। আর উভয়ের সামনে
কিশোর সিদ্ধার্থ দৃষ্টিহীন হয়ে বসে থাকেন;
ফলে মানুষের পুনর্জন্মের প্রয়োজন হয়।।

ঘুমানোর ভঙ্গি

দম্পতির ঘুমানোর ভঙ্গি সুন্দর- চেয়ে থাকা যায়
চোখ জুড়িয়ে যায়, মন ভরে ওঠে; রাত্রিকালে
শঙ্খ বেজে ওঠে-

এতটা সক্রিয় জীবন আর কে যাপন করে? -সাপ!
পেশীরাজ্যর শীতল সৌন্দর্য দেখে মানুষের কথা
অল্প অল্প মনে পড়ে যায়

সোমবার, ৪ মে, ২০১৫

থাকবে না কিছুই

ছায়াপথে থাকবে না কিছুই। শুধু পুড়ে যাওয়া জন্মভিটা, দোয়েল পাখির ডাক অবশিষ্টাংশের প্রেমে ভেসে যাবে। বৈষ্ণবীর সুরে মত্ত মাঝি বেহালে খুঁজে পাবে পুঁটি পাবদা কিম্বা পদ্মাবতীর অভিমান। আর কিছুই থাকবে না এই বিকাল বেলায়।

চিল পাখির মতো যে মেয়েটি ছোঁ মেরে নিয়ে যেতে চায় অথবা পেতে চায় হৃদয়ের সমস্ত নির্যাস, সেও থাকবে না। তার বদলে হরিতকী গাছ, অর্জুনের ছাল হয়তো পাওয়া যাবে কোবরেজ মশায়ের বেডরুমে।

দাউদাউ আগুন-স্মৃতি, শুকনো খাল থেকে যাবে। মুছে যাবে সাঁতার, মুছে যাবে ভর দুপুর। স্পেসস্টেশান থেকে সৌরদৃষ্টি দিয়ে শুধু দেখা যাবে ভূতের ফুল। আর সব মুছে যাবে

রবিবার, ৩ মে, ২০১৫

শুধু তোমার জন্য

শুধু তোমার জন্য অচেনা দিনে
এত দূর হেঁটে আসা
শুধু তোমার জন্য বিষণ্ণ পৃথিবীতে
রাষ্ট্র হয়েছে ভালোবাসা

শুক্রবার, ১ মে, ২০১৫

তুমি আসবে তাই

তুমি আসবে তাই
পথে পথে তোমার গান রেখে যাই
তুমি আসবে তাই
সূর্যোদয়ের দিকে ফিরে যেতে চাই
তুমি আসবে তাই
শ্রাবণের আকাশে মেঘ জমে নাই
তুমি আসবে তাই
কৃষ্ণচুড়ার সাজে সেজেছেন রাই

আবার ভোর হবে
এই ভেবে ভেবে
মানুষের কান্না 
ভাষা খুঁজে পাবে

তুমি আসবে তাই
চকিতে চাওয়াগুলো পাওয়া হয়ে যাবে
তুমি আসবে তাই
না পাওয়ার বেদনা ধুলায় লুটাবে

তুমি আসবে জেনে পথের ধারে
ফুটেছে মালতি ফুল থরে থরে
তুমি আসবে জেনে নগরের চৌকাঠে
কত হৃদয়ের দিন আজ বিনিদ্র কাটে

আবার আসবে সুদিন
তোমার আশায়
আবার গাইবে পাখি
হারানো ভাষায়

যে গান গিয়েছে মুছে স্মৃতি থেকে
যে গান এসেছে মাটির গন্ধ থেকে

তোমার চলার পথে ক্লান্তিরা সব
গোধুলিতে মিশে গিয়ে হয়েছে নীরব

তুমি আসবে তাই
পাখিরা মেলেছে ডানা, জোনাক হয়েছে আলো
জীবনের ভুলগুলো হঠাৎ লেগেছে ভালো

মঙ্গলবার, ২৮ এপ্রিল, ২০১৫

পুরুষচিৎকার

১.
রক্ত নয়, জলের দিকে যাও; কম্পমান মেঘে জমে উঠেছে শষ্য। রাত হয়েছে, দিন হবে। মাছেদের ক্লাশরূমে রসের বুদ্বুদ দেখ।
২.
এই নির্জনে কোলাহল আনো। ঐ দেখ ছায়াছবির উষ্ণ দৃশ্যায়ন। কৃষ্ণ অনুমানগুলো দূরে চলে যাবে।
৩.
সবুজ বিগ্রহ, নত হয়ে আছি। তুমি স্বল্পায়ু হয়ো না। ভূমিময় মুখর হও রঙের নির্মাণ। মাৎস্যন্যায় নয়, জলধির দ্রোহের সমান পুরুষচিৎকার।

শনিবার, ১১ এপ্রিল, ২০১৫

জুমকান্না



সারা জীবন পাখিভর্তা খেয়ে উড়াল শিখলাম আজ। এই বিকেলের ছায়ায় ডানা মেলে আছি। গণশৌচের রক্তিম আভা নিয়ে তুমি দাঁড়িয়ে, তাকিয়ে রয়েছ শিল্পময় অভিজ্ঞানে। শত শত গাছ, অযুত ডালে গৃহদীক্ষার ডাক। পৃথিবী আজও একান্নবর্তী;

শত ক্রোশ দূরে ভাঙ্গছে আলোর কনা; বেগুনি থেকে লাল হচ্ছে উড়াল পথ। ভূপৃষ্ঠের মন্থর দিন পেছনে ফেলে যাচ্ছি সুউচ্চে, সুদিনে। পাহাড়ে পাহাড়ে নিযুত পাতায় জুমকান্না। যারা ভাসবে ময়ূর ডানায়, হাওয়া তাদের ভালোবাসবে। পায়ে ভর দিয়ে সেটেলার হাঁটে; পায়চারি পায়তারা।

আজ আমিও শিখবো চাষাবাদ; শষ্য প্রতিভা বায়ুতে ফলাবো। ডানা মেলে বিকালের স্তরে পৃথিবী ছেড়ে তুমিও চলে এসো।

শনিবার, ২১ মার্চ, ২০১৫

মেঘম্যাট্রিক্স

কিছুটা আড়ালে থেকো। এ জীবন খুব দীর্ঘ নয়
মানুষের অগোচরে নিয়ত ভাঙ্গে কালোরশ্মি
মানুষ মনে রাখে সাদা হাসি। কণ্ঠভোটে পাশ
হলো আমার অধিকার। একটি পাতিকাক ক্ষুধা
চিনেছিলো বলে, চিনেছিলো সাহস- দূরে থাকা
মানে বেঁচে থাকা নয়- বুঝেছিল। কলোনির ভরাট
মেয়েরা তখন সাহস্যময়; তিনশ রজনী পার হয়
ফিরে আসে বিত্রস্ত বসন্ত। কিছুটা আড়ালে,
কিছুটা অধিকারে স্বল্পভাষী ময়ূর পেখম মেলে
সে যেন এক বৃষ্টিনাম, নামতাধর্মী ধারাপতন

কেউ দেখছে না। মিলিয়ন কণার নৃত্যরাগ
ছড়িয়ে পড়েছে স্ফটিকময়, সাহসী চোখের
প্রিজমের মতো উলোট-পালট মেঘম্যাট্রিক্স
জাগ্রত তোমার ডানায়।

শনিবার, ৭ মার্চ, ২০১৫

সোয়াইন ফ্লু

সোয়াইন ফ্লু, তোমার মদিরা ভাণ্ডে রেখো মোরে
অশেষ আদোরে
ভূবন বিখ্যাত রসাতলে পতিত হওয়ার আগে প্রিয়
চুম্বন জারি রেখো

তিন তিনটি দশকের জমানো ক্লেশ, খুচরো পিরিত
তোমাকে দিলাম
শুধু অক্ষয় ভাণ্ড থেকে স্ফুরিত সোমরস, নির্বেদ মন্ত্রে
পেতে চাই  

বুধবার, ৪ মার্চ, ২০১৫

বেহুলা ও বিবিধ



১।
কী লো বেহুলা, বলেছিলি
কলার ভেলা, এতো দিখি
নুহ্‌জীর নাও, সব জোড়ে
জোড়ে
২।
লো বেহুলা সুন্দরী, এতো দেখি
মেরি ম্যাগদালিন, কালনাগ কই
তোর কাপলে কার সিঁদুরের দাগ?
৩।
বাসরে বসিলি একাই, একা
ফুল্লরা মেয়ে, লৌহঋতু
কোমল বধু চিনবি কি খ্রীস্টরে
ক্রুশের মতোন?
৪।
বেহুলা, হাড়গুলা কোই, সবই
দেখি ক্রুশ কাঠ, খোঁপাতে পুচ্ছ
নাড়ায় কে?
৫।
হায় বেহুলা, নাচের মুদ্রা ছেড়ে
ধরেছিস যবন রীতি, মনসার
মনীষায় একি ভ্রান্তি আজ!
৬।
লখাই লখাই বুলাইয়া কাঁদি
গাঙুরের জলে ডানা মেলে
সুপারসিন ড্রোন।
৭।
তেরশত নদনদীর নাদ নিয়েছে বিলীন
খান্ডবদাহে, বেহুলার চোখে সওদাগরি
জল।

বেহুলা 
১।
বাসরে বসেছি আমি বেহুলা সুন্দরী
ননদে হলুদ বাটে, শশুর তরী-ঘাটে
নাগর আমার মূর্চ্ছা যায়, কালনাগে
ভয়। বিশ্বকর্মার চাতুরি, জানি দৈব-
কূটনীতি, আমার শুভ্র শাড়ি সাজায়ে
আন সই। দেবরে নজর দিলে স্বর্গ
হেসে ওঠে; অহল্যা এখনো বন্দিনী
২।
মনসার মনীষা হেথা আগরবাতিতে
রটে দূর হতে কাছে, সন্ধ্যার ভীতিতে
শশুরা বাণিজ্যে গেলে দেবর লৌহসিঁধে
সুখে নিদ্রা যায়- নির্ঘুম কাটে কার
জান কি আস্তিক মাতা? এ চোখে নিদ্
ঠাকুর পো, তুমি নও, কেড়েছে নারদে
৩।
দুষ্টের কোপে আসিলাম বঙ্গে, সর্প-সঙ্গে
ত্যাজিলাম বর; সওদার সম্ভ্রমের কাছে
হার মানে তনুর আকুতি- জোছনায় শুকাই
আপনারে। এত জলপথ, জনশূন্য ভেলা
কোথাও কেউ নেই, দৈবও আসে না লোভে
কয়েকটি হাড়ের স্মারক, সতীত্ব নেবে কেড়ে
এমনক দেবকী নন্দন কোই?
৪।
এমন বিভোর হয়ে কে কবে ক্রুশে চড়ে
হায় লা বেহুলা,
পচেনি শুধু দেহ চাঁদ তনয়ের
তোর দিকে চেয়ে চেয়ে কেঁদেছে কাশবন
গোপানে কেঁদেছেন বিল ক্লিন্টন।

লখাই
আমি এক হস্তী বিশারদ, খাই কলা গাছ।

বৃহস্পতিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

ভোজ

আবার ক্রুশ কাঠ
ভেঙ্গে পড়েছে
আলোর প্যাকেটগুলি
আশৈশব ঝুলেছিল
হিজলের গাছে


পথের ওপাড়ে পাখি। পাখির উপরে গাছ। গাছের কানায় তার বাসা। বাসায় মিথের ডিম, ওম দিচ্ছেন মহামতি হোরাস।

মাথিনের কূপে মা মেরি শাওয়ার নিচ্ছেন; টেকনাফের দিকে বুদ্ধিজীবীর ঢল। ভীত বৃক্ষোরা জানে যৌনাঙ্গের ঘ্রানে ফাল্গুন আসে এ দেশে। এই দেশে ফাল্গুন ঈসার জন্মবার। প্রিয় মাছারাঙা, চলো নিরামিষ ভোজে

বুধবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

সমকালীন শিল্পসাহিত্য ও ইন্টালেকচুয়ালিটি

১.
মাকাল একটি ফলের নাম। টইটম্বুর বাড়ে
লতায় ঝুলে লাল স্তন।
প্রতিদিন এর গোড়ায় জল দেয় কে?

২.
কাক এক পাখি; রাত জাগে। (ভাবে) খুঁটে খায় অন্তরীক্ষের বিচি।

বুধবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

স্বপ্নখোর ঘুমে

আমি ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। স্বপ্ন দেখার মতো-
সব চেয়ে ব্যস্ততম পথে গমনেচ্ছুক সাপেরা ভয় পেয়ে
নিখোঁজ হলো; আমি তাদের গল্প বলি।
কুমারীদের পোদের ওমখোর টিএসসির ছাড়পোকাটির
গল্প করি। নিউজপ্রিন্টের রগরগে জমানা যে দেখেনি;
কর্ণফুলির হলুদ পাতায় বেড়ে ওঠা ছাড়পোকার ছানা থেকে
কী করে সে কুমারীদের দখলে নিলো, সেই গল্প
বলি নিখোঁজ সাপেদের। ওরা সাহস পায়
কুকুরের বমির ঘ্রাণ ধরে ধরে ওরাও পৌঁছুতে চায়
শাহবাগ এলাকায়, নীলক্ষেতে, গুরুদুয়ার সাদা বিল্ডিংয়ে।

রমনা এলাকার একটি প্রজাপতি হঠাৎ গল্প জুড়ে দ্যায়
আমার ঘুমের সাথে; ফলে স্বপ্নটি অসমাপ্ত হয়ে ওঠে, এবং
আমি জানাতে পারি সে আজ কার বক্ষে বসে
কার মুণ্ডু দেখেছে; ছায়ানটে নজরুল বেজে চলে- এই
অভিযোগে আত্মহত্যা করা তানপুরায় বসবাসরত ঘুনপোকা
উদ্বাস্তু হলে প্রতিবাদে মুখর হয় ওমখোর টিএসসি।

আমি তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার সেঁকে স্বপ্ন বেলে খাই।

মঙ্গলবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

পুড়ে যাওয়া ঘন বন

১.
ক্রমশ বৃষ্টি নামছে। আকাশের পাত্রে অগনন ফুল কাঁদে;
কান্নার ভেতরে ক্রমশ নেমে আসে কসমিক রাত।
বৃষ্টিফোটার মতো ফুটছে ঘন বন, নক্ষত্রের ধুলা-বালির

ছায়ার লেজ ধরে আমরাও পৌঁছাবো পরমার্থের দিকে
বাতাসের গ্র্যাভেটি টেনে নিয়ে যাচ্ছে তোমার ঠোঁট

২.
মধ্য আকাশের কথা ভাবুন একবার; পরিধির পায়চারি ভাবুন
শুনুন আর্কিমিডিস, একবার চুমু খাবেন আমার প্রেমিকাকে
তার স্তনে মুখ রেখে ঘুমের আওয়াজ শোনে ঘন হরিতকি বন

আমি সেই ঘুমঘ্রান ভালোবেসে ফেলি, জলে ভেসে ইউরেকা বলি
লোকজ জ্যামিতি ফুঁড়ে ঘনায়মান পাতাগুলি ছাই হয়ে উড়ে যায়