১।
কী লো বেহুলা, বলেছিলি
কলার ভেলা, এতো দিখি
নুহ্জীর নাও, সব জোড়ে
জোড়ে
২।
লো বেহুলা সুন্দরী, এতো দেখি
মেরি ম্যাগদালিন, কালনাগ কই
তোর কাপলে কার সিঁদুরের দাগ?
৩।
বাসরে বসিলি একাই, একা
ফুল্লরা মেয়ে, লৌহঋতু
কোমল বধু চিনবি কি খ্রীস্টরে
ক্রুশের মতোন?
৪।
বেহুলা, হাড়গুলা কোই, সবই
দেখি ক্রুশ কাঠ, খোঁপাতে পুচ্ছ
নাড়ায় কে?
৫।
হায় বেহুলা, নাচের মুদ্রা ছেড়ে
ধরেছিস যবন রীতি, মনসার
মনীষায় একি ভ্রান্তি আজ!
৬।
লখাই লখাই বুলাইয়া কাঁদি
গাঙুরের জলে ডানা মেলে
সুপারসিন ড্রোন।
৭।
তেরশত নদনদীর নাদ নিয়েছে বিলীন
খান্ডবদাহে, বেহুলার চোখে সওদাগরি
জল।
বেহুলা
১।
বাসরে বসেছি আমি বেহুলা সুন্দরী
ননদে হলুদ বাটে, শশুর তরী-ঘাটে
নাগর আমার মূর্চ্ছা যায়, কালনাগে
ভয়। বিশ্বকর্মার চাতুরি, জানি দৈব-
কূটনীতি, আমার শুভ্র শাড়ি সাজায়ে
আন সই। দেবরে নজর দিলে স্বর্গ
হেসে ওঠে; অহল্যা এখনো বন্দিনী
২।
মনসার মনীষা হেথা আগরবাতিতে
রটে দূর হতে কাছে, সন্ধ্যার ভীতিতে
শশুরা বাণিজ্যে গেলে দেবর লৌহসিঁধে
সুখে নিদ্রা যায়- নির্ঘুম কাটে কার
জান কি আস্তিক মাতা? এ চোখে নিদ্
ঠাকুর পো, তুমি নও, কেড়েছে নারদে
৩।
দুষ্টের কোপে আসিলাম বঙ্গে, সর্প-সঙ্গে
ত্যাজিলাম বর; সওদার সম্ভ্রমের কাছে
হার মানে তনুর আকুতি- জোছনায় শুকাই
আপনারে। এত জলপথ, জনশূন্য ভেলা
কোথাও কেউ নেই, দৈবও আসে না লোভে
কয়েকটি হাড়ের স্মারক, সতীত্ব নেবে কেড়ে
এমনক দেবকী নন্দন কোই?
৪।
এমন বিভোর হয়ে কে কবে ক্রুশে চড়ে
হায় লা বেহুলা,
পচেনি শুধু দেহ চাঁদ তনয়ের
তোর দিকে চেয়ে চেয়ে কেঁদেছে কাশবন
গোপানে কেঁদেছেন বিল ক্লিন্টন।
লখাই
আমি এক হস্তী বিশারদ, খাই কলা গাছ।