সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

অশ্বারোহীর বিকেল

অশ্বারোহীর বিকেল টগবগিয়ে নামে
এই সন্ধ্যাকাজল ধেয়ে যাবে নিশুতি শেওলার দিকে।
আদিম পৃথিবীর ঘাসগুলো অথবা তাদের ঘ্রাণ যে পাঁজরে বসত নিয়েছে
তার দিকে চেয়ে আছি, বৃষ্টির চেয়েও মনযোগী বাসনায়।

প্রতিদিন চিহ্ন রেখে যাও রোদ— মাঝি ও জলের অতীতচারী মূল্যবোধ যত
ভেসে উঠবে ঢাকার গৃহীনিদের মতো ফুলে-ফেঁপে। বয়স্ক হয়ে ওঠা চাঁদ
নাকি লাশ দুর্নিবার ঘোরে চরাচরে। কার শরীরের রোদ জ্যোৎস্না হয়,
কার অন্তর্বাসে লুকিয়ে থাকে আমার পাঁজর?

সুমেরু-সকাল

আমি তার ডাকনাম ভুলে গিয়েছি। অলস বৃষ্টিতে ঝোপঝাড়ে অতিবেগ আসে
আমি ভুলে গিয়েছি তুচ্ছ সাপ ও দড়ির খেলা, খেলনাঘর

আদি অক্ষরের গুহা থেকে পাখির গান ভাসে, মৃত্যুনগরে চলো ভালোবাসা শব্দটি বিক্রয় করে দিই
অতিবৃদ্ধ অথবা যুবকের দেনা শ্যাওলার দামে শোধ করি। জলের প্রস্রবণে
তোমাকে বলি, শোন, দৃষ্টি ও দৃশ্যের আঁতাত থেকে বাইরে এসে
বলে দাও সেই নাম, যার কুহক বাসনায় বধির হয়ে আছি, বৃষ্টি আর আলস্যের দেশে

তারপর ধুধু মাঠ; শষ্যহীন

গোধূলিমিনারে দাঁড়িয়ে আরো অনেকের মতো তাকালে দেখা যাবে সুমেরু-সকাল

পাখি ও প্যারিস

অই পাখি, যে পাখি উড়ে আসে
এসে জলচৌকিতে বসে
খুটতে থাকে
নখ ভালো করে দেখে

তারে দিনরাত আদার খাওয়াইও না

ভূকূঞ্জে মেঘ, উড়ে আসে
উড়ে আসা মেঘ
মোটা মোটা মেঘ
চলে যাও, না হয় নেমে যাও

তোমারে পাঠামু না প্যারিসে

বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

নির্জ্ঞান



আমার কোন জ্ঞান নেই, বৃষ্টিতে ধুয়ে দিচ্ছ গ্রীষ্মতা
পত্রহীন কাণ্ডে জলের প্রলেপ শুষে নেয় প্রহরীগণ।

রাতে চাঁদ আসে, তোমার বিভা নিয়ে ছড়িয়ে পড়ে
ঘর থেকে ঘরে, প্রকম্পিত টিনে। প্রভু, আমি দৃষ্টিহীন

আমাকে তৃষ্ণা দাও, তোমার প্রজ্ঞার মেরুন মূর্তি থেকে
সব সাপ নেমে পড়েছে উঠোনে, প্রলয়ঙ্করী ফণায়

কৃপা করেছ, এখনো হয়নি যেতে অগ্যস্ত মোড়ে। মেষ 
ও মশক ওড়নায় ঢাকে মুখ, আমি শুনতে পাই না কিছুই