বৃহস্পতিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

ভোজ

আবার ক্রুশ কাঠ
ভেঙ্গে পড়েছে
আলোর প্যাকেটগুলি
আশৈশব ঝুলেছিল
হিজলের গাছে


পথের ওপাড়ে পাখি। পাখির উপরে গাছ। গাছের কানায় তার বাসা। বাসায় মিথের ডিম, ওম দিচ্ছেন মহামতি হোরাস।

মাথিনের কূপে মা মেরি শাওয়ার নিচ্ছেন; টেকনাফের দিকে বুদ্ধিজীবীর ঢল। ভীত বৃক্ষোরা জানে যৌনাঙ্গের ঘ্রানে ফাল্গুন আসে এ দেশে। এই দেশে ফাল্গুন ঈসার জন্মবার। প্রিয় মাছারাঙা, চলো নিরামিষ ভোজে

বুধবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

সমকালীন শিল্পসাহিত্য ও ইন্টালেকচুয়ালিটি

১.
মাকাল একটি ফলের নাম। টইটম্বুর বাড়ে
লতায় ঝুলে লাল স্তন।
প্রতিদিন এর গোড়ায় জল দেয় কে?

২.
কাক এক পাখি; রাত জাগে। (ভাবে) খুঁটে খায় অন্তরীক্ষের বিচি।

বুধবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

স্বপ্নখোর ঘুমে

আমি ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। স্বপ্ন দেখার মতো-
সব চেয়ে ব্যস্ততম পথে গমনেচ্ছুক সাপেরা ভয় পেয়ে
নিখোঁজ হলো; আমি তাদের গল্প বলি।
কুমারীদের পোদের ওমখোর টিএসসির ছাড়পোকাটির
গল্প করি। নিউজপ্রিন্টের রগরগে জমানা যে দেখেনি;
কর্ণফুলির হলুদ পাতায় বেড়ে ওঠা ছাড়পোকার ছানা থেকে
কী করে সে কুমারীদের দখলে নিলো, সেই গল্প
বলি নিখোঁজ সাপেদের। ওরা সাহস পায়
কুকুরের বমির ঘ্রাণ ধরে ধরে ওরাও পৌঁছুতে চায়
শাহবাগ এলাকায়, নীলক্ষেতে, গুরুদুয়ার সাদা বিল্ডিংয়ে।

রমনা এলাকার একটি প্রজাপতি হঠাৎ গল্প জুড়ে দ্যায়
আমার ঘুমের সাথে; ফলে স্বপ্নটি অসমাপ্ত হয়ে ওঠে, এবং
আমি জানাতে পারি সে আজ কার বক্ষে বসে
কার মুণ্ডু দেখেছে; ছায়ানটে নজরুল বেজে চলে- এই
অভিযোগে আত্মহত্যা করা তানপুরায় বসবাসরত ঘুনপোকা
উদ্বাস্তু হলে প্রতিবাদে মুখর হয় ওমখোর টিএসসি।

আমি তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার সেঁকে স্বপ্ন বেলে খাই।

মঙ্গলবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

পুড়ে যাওয়া ঘন বন

১.
ক্রমশ বৃষ্টি নামছে। আকাশের পাত্রে অগনন ফুল কাঁদে;
কান্নার ভেতরে ক্রমশ নেমে আসে কসমিক রাত।
বৃষ্টিফোটার মতো ফুটছে ঘন বন, নক্ষত্রের ধুলা-বালির

ছায়ার লেজ ধরে আমরাও পৌঁছাবো পরমার্থের দিকে
বাতাসের গ্র্যাভেটি টেনে নিয়ে যাচ্ছে তোমার ঠোঁট

২.
মধ্য আকাশের কথা ভাবুন একবার; পরিধির পায়চারি ভাবুন
শুনুন আর্কিমিডিস, একবার চুমু খাবেন আমার প্রেমিকাকে
তার স্তনে মুখ রেখে ঘুমের আওয়াজ শোনে ঘন হরিতকি বন

আমি সেই ঘুমঘ্রান ভালোবেসে ফেলি, জলে ভেসে ইউরেকা বলি
লোকজ জ্যামিতি ফুঁড়ে ঘনায়মান পাতাগুলি ছাই হয়ে উড়ে যায়