মঙ্গলবার, ২৭ মে, ২০১৪

দ্বিধাচূর্ণ

মিথ্যার নামে লিখছি এই অভয়। রোজ ময়ূরের বিয়ে দেখি, রাত্রির শালিনতা ভেঙ্গে
পলায়নবৃত্তির দিকে ঝুকে থাকি, বরাহ বিরহে

আকাশ চাইতে নেই, মেঘ এসে জমে। বৃষ্টির ধারায় রবিসুখের দিন শেষ

মানুষের কাছে মেদ জমে থাকে- দিবসের চৌকাঠে বেজে ওঠে জাহাজস্মৃতি
কিঞ্চিৎ কাঞ্চনমূল্যরজত কি শোধ হবে দ্বিজাদেশে? হে বিরহবিমুখ
হে অশ্বিনী তনয়া, কুচময়ী

নশ্বর নগরে তবু গাছ ওঠো। ওঠে কুষ্ঠকোলাহল
জন্ম জরা অভিনয়, মোটেও মিথ্যে নয়

যা কিছু জ্ঞাত
যা কিছু মধ্যম
গ্রন্থিত যা কিছু
তোমার আমার প্রণয়ের মতো সবই দ্বিধার চূর্ণ
সবই উড়ে যায় নিষেধের অভয়াশ্রমের দিকে

বৃহস্পতিবার, ১৫ মে, ২০১৪

চুম্বনঘোরে


শাওয়ার কখনো মিথ্যা বলে না- প্রতিদিনই আষাঢ়
মেটালিক মেঘ ওড়ে অতিদূরে, নামে সংলাপ অঝোর

দুইবার চেইন টেনে তুমি দাঁড়িয়েছ একবার
অলস পাখির চোখে রাখ মাছরাঙা ভীতি

হয়তো বৃষ্টিবিভূই; পিঁপড়ে ও পায়রা বোঝাই
হয়তো রেলগাড়ি থেমেছে কেশগুপ্ত স্টেশানে

এই বুঝি আবার ঝরবে ছায়া চৌম্বকআলোয়
এই বুঝি মুছে গেল মগ্নসুদিন

কেউ কি তবে এখনো সত্য বলে, রহস্যের ভোরে
ঝিরঝির শব্দে পেতে আছ কান কার চুম্বনঘোরে?

সোমবার, ১২ মে, ২০১৪

আই ছ এ বার্ড

আমি একটি পাখি দেখেছি
নীল ঠোঁটে কাজল মেখে
উড়িবার ছলে

চেনা সময়ের দিকে
পারফিউম মেলে
অর্ধশতাব্দিকাল

কার দিকে চেয়ে আছ
নটের বিহঙ্গ
ঋত্বিক বাতাসের তোড়ে

স্নানঘরে কুয়াশার গুম

ঝিনুক

"মেঘ জমেছে। গভীর গতি
বৃষ্টি নেমেছ।
১৫০০ স্কয়ার ফিটের জ্যামিতি
উপচে পড়ছে জলে।"

নগরী তার শোকার্ত হুইসেল
দিয়ে গেছে কাল ভোরে

সেই প্রস্থানের দিকে
নেমেছে বর্ষা,
বহুভূজ

অশ্বশীতল জলে,
অতলে
শুয়ে আছ ঝিনুক