শুক্রবার, ১০ জুন, ২০১১

বৃষ্টি বিষয়ক সিজোফ্রিনিয়া

প্রচন্ড ঝড়োতায় তোমার দেহপায়রা উড়ে গিয়ে
বসে শেষ কম্পার্টমেন্টে। বৃষ্টি বিষয়ক সিজোফ্রিনিয়া
স্টেশনে স্থির বসে থাকে। তুমি চলে যাও অঝোর
মালগাড়ির তীব্র আলোর দৃশ্যান্তরে;
হারানো বিজ্ঞপ্তি সাঁটা হয়েছে দেয়ালে দেয়ালে
হারবাল কোম্পানীর সমস্ত স্টিকারে-হ্যন্ডবিলে
রঙিন পোস্টারের মৌণ যৌন আর্দ্রতায়-

ঝরছে সোনার মতো তোমার অবিনশ্বর চুলের সাপ
ইস্পাতে পিষ্ট রোদের জটিল গোপন ব্যধি;
স্টেশানরোডের হাওয়া মিশে যাচ্ছে মেঘেদের ক্ষয়রোগ
পড়ে যাচ্ছে সবগুলো শার্টার পরজীবি চুলের দৃশ্যকল্পে;
খয়েরি টিনের শব্দমাতাল বিস্ময়, টিকিটের ধূধূ হাহাকার
চলে যাও সমান্তরাল বৈকুণ্ঠের তরলে—
স্থিরতা জানে, কুয়াশায় ঢেকে যাবে তোমার গমনপথ
স্টেশানের সবগুলো বেঞ্চি গভীর কোন আভিঘাতে একদিন

বুধবার, ১ জুন, ২০১১

ইস্টিশনের বিষ্টি


আমরা পার করছি আর্দ্র সময়;
বিশাল হাতির মতো ট্রেইন আসে ধীরে মুষলবৃষ্টিতে
জীবন ফিরে পায় স্টেশান; তুমুল হর্ষ তুলে মালগাড়ী
থেমে পড়ে লৌহকংক্রিটে।
তুমি আমি দর্শকবিন্দুতে বসে দেখছি
ত্রিশ মের বৃষ্টিরাশি পড়ছে অতিকায় ট্রেনে
ধাতব সংঘর্ষ ছাপিয়ে বৃষ্টিশব্দে মুখর হয়
আমাদের স্টেশান, স্মৃতিকাতর দ্বৈত আচরন

বিপুল ধ্বনিধর্ষন করে চলে গ্যালে ট্রেইন
বিমর্ষ পেয়ালারা পিরিচের উপর বসে ঢলাঢলি করে।
আমি তিরিশ বছর পুরোনো জন্মকল্পের দিকে ফিরে তাকাই
তোমার দেহপায়রার উপর অবিরল ঝরে চলে বৃষ্টির পয়ার