মঙ্গলবার, ২৮ এপ্রিল, ২০১৫

পুরুষচিৎকার

১.
রক্ত নয়, জলের দিকে যাও; কম্পমান মেঘে জমে উঠেছে শষ্য। রাত হয়েছে, দিন হবে। মাছেদের ক্লাশরূমে রসের বুদ্বুদ দেখ।
২.
এই নির্জনে কোলাহল আনো। ঐ দেখ ছায়াছবির উষ্ণ দৃশ্যায়ন। কৃষ্ণ অনুমানগুলো দূরে চলে যাবে।
৩.
সবুজ বিগ্রহ, নত হয়ে আছি। তুমি স্বল্পায়ু হয়ো না। ভূমিময় মুখর হও রঙের নির্মাণ। মাৎস্যন্যায় নয়, জলধির দ্রোহের সমান পুরুষচিৎকার।

শনিবার, ১১ এপ্রিল, ২০১৫

জুমকান্না



সারা জীবন পাখিভর্তা খেয়ে উড়াল শিখলাম আজ। এই বিকেলের ছায়ায় ডানা মেলে আছি। গণশৌচের রক্তিম আভা নিয়ে তুমি দাঁড়িয়ে, তাকিয়ে রয়েছ শিল্পময় অভিজ্ঞানে। শত শত গাছ, অযুত ডালে গৃহদীক্ষার ডাক। পৃথিবী আজও একান্নবর্তী;

শত ক্রোশ দূরে ভাঙ্গছে আলোর কনা; বেগুনি থেকে লাল হচ্ছে উড়াল পথ। ভূপৃষ্ঠের মন্থর দিন পেছনে ফেলে যাচ্ছি সুউচ্চে, সুদিনে। পাহাড়ে পাহাড়ে নিযুত পাতায় জুমকান্না। যারা ভাসবে ময়ূর ডানায়, হাওয়া তাদের ভালোবাসবে। পায়ে ভর দিয়ে সেটেলার হাঁটে; পায়চারি পায়তারা।

আজ আমিও শিখবো চাষাবাদ; শষ্য প্রতিভা বায়ুতে ফলাবো। ডানা মেলে বিকালের স্তরে পৃথিবী ছেড়ে তুমিও চলে এসো।