বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০১৪

গান

তোমার কথা ভাবতে ভাবতে
দেখতেছিলাম বৃষ্টি
তোমার ছবি দখেতে দেখতে
উদাস হইল দৃষ্টি

জলের ভিতর থোকায় থোকায়
জারুল ফুলের ঘ্রান
বৃষ্টি জলের ফোটায় ফোটায়
তোমার অভিমান

দৃষ্টি আমার শীতল হাওয়ায়
আর্দ্র অনুরাগে
একলা ঘরে আঁধার নামায়
তোমার অস্তরাগে

তুমি তখন বাইরে থেকে
ভিজিয়ে দিলে কেশ
অলক ঘ্রানে ছড়িয়ে রেখে
জাড়িয়ে রাখ রেশ


বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০১৪

কাউকে মনে পড়ে না

কত দিন কাউকে মনে পড়ে না
কতদিন ক্লোন ফেরি করে করে
মাঝ পথে থেমে পড়ি না

এক. ভোর নয় রাগিনি নয়
একটি মুখের দিকে তাকিয়ে
হয়ে যাবো রিক্‌সা মেইকার

দুই. পরিচিত মুখ দেখে
হাত গুটিয়ে নিই
এক পয়সার দিন শেষে
এখন নিদারুণ অবসর

তিন. লোকপ্রিয়তার আলতা কেনার সাধ
সবার পূর্ণ হয় না
কতদিন, কত হাজার দিন
কাউকে মনে পড়ে না

অথবা.
সবাই এক একটা হাতি
ঈশ্বর, তুমি মহান মাহুৎ

দেখলাম, চিলেকোঠায় আমি নেই; আছি আম বাগানে, কাঠঠোকরার লেজে। একদিন হারিয়ে গিয়েছিলাম ঠাকুরের মেলায়। তারপর কেঁদেকেটে আমাকে তো খুঁজে পেলো অন্যরা শুধু আমি পেলাম না। চিলেকোঠায় বসে থাকে কাঁসার গ্লাস। গ্লাসটি ডায়রিতে ঢেকে রেখে কে যেন চলে গেছে গ্রাম ছেড়ে। আমি তাকে চিনতাম কিনা মনে পড়ছে না, বিরাশি থেকে আজ অবধি মনে পড়ছে না; কতদিন কত হাজার দিন চলে গেল- ঠাকুরের মেলায় যদি খুঁজে পাই তাকে

চার. এবং অতিসত্ত্বর, চেয়েছি তোমাকে
তুমি এক আজব আর্গুমেন্ট, দয়াময়
তোমাকেও দেখি না বহুদিন হয়

পিঠে বসে আছ, শুধু শুধু হরি
হরের বেদনা হয়ে, অযথাই

পাঁচ. অযথাই?

এই যে শহর, অজস্র ডিম্বানু বুকে নিয়ে শুয়ে আছে তার ভালো নাম কী? শাখারী বাজার নাকি মানিক নগর? মনিমানিক্যে ভরপুর দেশে কেউ কেউ ঘুমোতে যায় মাঝ রাতে। আকাশ থেকে পরী নামে, নতুন শহরে ভোর আসে; কার ফ্ল্যাটে? কার বিছানায় অযথাই ক্ষয় হয় সবুজ রাত্রিগুলো? আমার হাত ধরে থাকে যে, নিয়ে যায় গভীর অনুকম্পায়, তাকে মনে পড়ছে না; কত শত দিন আমি তার হাতের ইশারা বুঝি না। ফেরিওলার মতো ঘেমে উঠি, ঘমাচি হয় একাকী শরীরে। তবু এ শহর বৃষ্টিময় সিজোফ্রিনি।

রবিবার, ৫ অক্টোবর, ২০১৪

কৃচ্ছ্র

অনেক মৃত্যুর পরে জন্ম নেয় শহরের ঘুম

ইনসোমনিয়ায় ডুবতে থাকা মাংসের বুদ্বুদ
রোজ পথ হাঁটে

পথে পথে কদ্বেল-আঙুরের মেহ
কৃচ্ছ্র সাধনের কুটিল পোস্টার

গলির গভীরে বাজে
নিশিকুকুরের বুক ফাটা চিৎকার