সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৩

সম্বিৎ

জীবনের গভীর খননে যারা ব্যস্ত:
তোমরা যারা আপেলের মতো নিষ্ঠাবান তাদের মঙ্গলের কথা ভেবে পাইকারি হারে মূল্যবৃদ্ধি হচ্ছে কারওয়ান বাজারে
আমি ভোর বেলা হেঁটে চলে যাই, গাবতলি থেকে রায়ের বাজারের দিকে, হাঁটতে হাঁটতে
ফিরে আসি নিজের শরীরের ভেতরে, এখানে প্রচুর উকুন রক্তপোহাচ্ছে
তুরাগের জলের ভেতর নাৎসি দেবতারা ভায়োলিন বাজিয়ে বাজিয়ে পাহারা দিচ্ছে কাঁটাতারের বেড়া
আমি স্টক-মার্কেটে গিয়ে বনে গেছি জনতা ব্যাংক লিঃ এর মালিক, দুঃখজনক ভাবে কোন একাউন্ট-হোল্ডার এ কথা জানে না
আমিও জানি না আমি ঠিক জন্মাতে চেয়েছিলাম কিনা- এই পৃথিবীর আলো ও রোদের ভেতর ভুল ভালোবাসা
বয়ে বেড়ানোর দায় নিয়ে হৃদয় গচ্ছিত রেখেছি বৃদ্ধাঙ্গুলিতে; তাই যুগপৎ প্রেমিক ও পাষণ্ড রূপে বেঁচে আছি মথ হয়ে মিথের মতো
যারা ভালোবাসা পেতে আসেন তাদের দিকে ছুড়ে দিতে চাই নিষ্কাম শরীরের অবশেষ,
জন্মানোর দায় কার? জরায়ু অথবা পুরুষের; অথচ আমাকেই পার হতে হচ্ছে জীবনের সব ক'টি চৌকাঠ, সবক'টি রাত

আমার দিকে তুমি ছুড়ে দিও না রঙিন মদ, অথবা অতসী হাত। আমি আগে বুঝে নিই মেটাফিজিক্স
পেনশন তোলার নিয়ম এবং মাছ বাজারের মুলোমুলি
আমি আগে শিখে নিই গামছার গিট
আমি আগে বুঝে নিই অ আ ক খ
আমি আগে বুঝে নিই পিতা ও পুত্রের সম্পর্ক, বোনের সাথে ভাই, ভাইয়ের সাথে বৌদির

হাস্নাহেনার সাথে ঘুমের ভেতরে প্রণয় হয়ে গেলে অরূন্ধতী নেমে আসে
হিমালয়ে জমছে বেদ; প্রতিটি সুক্ত মুখস্থ আমার- অগ্নির প্রতি স্বাহার আসক্তি শূন্যের কোঠায় এসে ঠেকেছে
পৃথিবী ও পরা-পৃথিবীতে এর চেয়ে বিশুদ্ধ নিষ্কাম আর নাই- বুঝেছিলেন লালন ফকির।।

পাখি তুমি মিথ্যা ডানায় ভর দিয়ে উড়েছ মিথ্যার অনন্ত আবর্তে
তুমি মিথ্যা মিছিলে গিয়ে চঞ্চু ভরে মিথ্যা শ্লোগান শিখে নিয়েছো
তোমার ঠোঁটের রঙ কি হলুদ ছিল আগে? তুমি গিয়ে চিৎ
পড়ে আছ মিডনাইট চ্যানেলে--

কারা হেঁটে যাচ্ছে? ওদের ডাকুন; সক্রিয় হোন পাঠক ও পাঠিকা বৃন্দ।। মুলোর কেজি কত আজকাল?
সিমের ফলন লাভজনক হলে ডাকিনীকে কয়েকটি চুমু ধার দেওয়া যাবে।
মানুষ জানে তার রক্তের রঙ- সাহিত্য নাকি আজকাল সকালে বিকালে ফলে নারকেল গাছে?
আমার বেড়াল কোয়েলগুলোর দিকে ভালো করে একটু তাকাতে পারে না
ওর লেজ যতটা গভীরে যায় জীবন তাতোটা নয়; অথচ তোমারা খুড়ে যাচ্ছো আর যাচ্ছেন
কী সব নাকি পেয়ে বেড়াচ্ছো। খননে শুধু গণনাই বাড়ে- মাটির পুতুল থেকে কামাখ্যার হরিণী
পেয়ে কী লাভ বলো ঝর্ণার শাদা জল ক্রমেই হচ্ছে ক্লীশে

তোমার হতের তালুর ভেতর অই তো দেখা যায় কার হৃৎপিণ্ড ধুপ ধুপ করছে!
আমি কি আমার ধমনীতে কোন উত্তরাধিকার বহন করছি বেদ রচয়িতাদের? তবে কেন স্বাতীকে এত প্রিয় লাগে
একলা একলা যখন হাঁটি-  গাছের নিচে বসি- ঘুমাই- নির্বংশ হই
তখন আবার বর্তমানে চলে আসি চমোস্কির সূত্রগুলোর মতো তুলনামূলক মেথডে

এই সেই জরায়ু, যা ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে আজকের এই পৃথিবী, গজানো গাছপালা আর কবিতাসমূহের বিকার
এই তো সেই রক্তপাত যার প্রবাহ থেকে ঈর্ষা ও বেদনার উৎসারণ-
আমি এই রক্তপ্রবাহের অণু পরমাণুর চরমগতির ভেতরে স্থিরতা লিখে দিলাম- কারণ
আমি বুঝতে চাই জীবন আমার বিকেলের সুপের বাটির চেয়ে খুব বেশি গভীর কিছু নয়।

প্রায় অন্ধ যুবকটি প্রতি রাতে নির্ভুল করে হাঁটতে পারে; দিনের ভিক্ষায় সে অভিজ্ঞতা কোন কাজেই লাগে না তার
সে গর্ভ ভরে জমা রাখছে খুচরো আর ছেঁড়াফেড়া জাল অনুমানগুলো; অফেরৎযোগ্য নিশানায় ভ্রাম্যমান এই স্তন
মুদি দোকানের কারবারি, স্নেহ, সোথা, লালা ভর্তি তেলের ড্রাম- এই তো সব শেষে থাকে- এই তো বেঁচে থাকে

আমার প্রতিটি চিঠি রক্তের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে প্রাপকের ঠিকানায় নেমেছিলো পায়রার মতো
বিজয় দিবসের র‍্যালির মধ্যে বাস করে ভাবালুতাসমগ্র, কীটে খাওয়া দেশপ্রেম
থুতুর ভেতরে ঘৃণা ও ভালোবাসার বাস করে- মেন্ডেলার প্রয়ানের দিন এক কথা বুঝেছিলাম
তাই আমি বুছতে চাই লাল ও সবুজ
তাই আমি বুঝতে চাই একটি ভাষণ
তাই আমি বুঝতে চাই একটি তর্জনি-ইশারা

বন্‌ বন্‌ করে বনের ভেতরে ঘুরছে শিকারী কুকুরেরা
আমিও ফুল দিতে যাবো বিজয়স্তম্ভে

এই টায়ারের ইতিহাস বন্দি থাক চারুকলায়, আমার বন্ধু ও কমরেডরা ইম্প্রেশানিস্ট ক্যনভাসে বিড়ি খায়
রোদে শুকোতে দেয় জলরঙের আঁচড়, কিম্বা তুলির পশমি চুমু

জীবন দগদগে ঘা হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে, আটাশ বছর ধরে তাকে খুঁজে যাচ্ছি

একটি কুড়ে ঘর
একটি চাকু
পে-কমিশন
ইনকামট্যাক্স ফাইল
আর একটি কালখন্ড
এই সব জমিয়ে রেখেছি

এ সব তোমার জন্য, এসে নিয়ে যেও

বি-পজেটিভ রক্তের একচেজিং এখানেই শেষ।।
ব্লাড ডোনেটিং ক্লাবে মাথা নিচু করে বসে থাকবো

জুসের প্যাকেটর হাতে ঘুম ঘুম চোখে তুমি কিশোরি নায়িকা